আনন্দময় পঞ্চনিগুঢ়তত্ত্ব

প্রতি সোমবার, শনিবার, এবং আগমন হতে প্রায়শ্চিত্তকাল পর্যন্ত সকল রবিবারে বলা হয়।

সূচি
১। দূত সংবাদ
২। সাধ্বী এলিজাবেথের সাথে কুমারী মারীয়ার সাক্ষাত
৩। বেৎলেহেমের গোয়াল ঘরে যীশুর জন্ম
৪। বালক যীশুকে মন্দিরে উপস্থাপন
৫। বালক যীশুকে মন্দিরে পাওয়া
প্রণাম রানী

পবিত্র জপমালা প্রার্থনা- আনন্দময় পঞ্চনিগুঢ়তত্ত্ব

প্রেরিতদের শ্রদ্ধামন্ত্র, ১ প্রভুর প্রার্থনা, ৩ প্রণাম মারীয়া এবং ১ ত্রিত্বের জয় প্রথমে বলে নির্দিষ্ট দিনের পঞ্চ নিগুঢ়তত্ত্ব বলতে হবে।

১। দূত সংবাদ

মহাদুত গাব্রিয়েল ধন্যা কুমারীকে “প্রসাদপুর্ণা” বলে সম্বোধন করেন এবং প্রকাশ করেন যে আমাদের ত্রাণকর্তা যীশু খ্রিষ্ট তাঁর গর্ভে জন্মগ্রহণ করবেন । এস, আমরা এই নিগুঢ়তত্ত্ব ধ্যান করি।

প্রভুর প্রার্থনা, ১০ প্রণাম মারীয়া এবং ১ ত্রিত্বের জয়

হে প্রিয় যীশু, আমাদের পাপ ক্ষমা কর, নরকের আগুন হতে আমাদের রক্ষা কর, সকল আত্মাকে স্বর্গের পথে চালাও, বিশেষতঃ যাদের জন্য তোমার দয়া একান্তই আবশ্যক।

২। সাধ্বী এলিজাবেথের সাথে কুমারী মারীয়ার সাক্ষাত

জ্ঞাতি সাধ্বী এলিজাবেথ মা হবেন শুনে, ধন্যা কুমারী মারীয়া তাঁর সাথে দেখা করতে গেলেন, এবং তাঁর কাছে তিন মাস থাকলেন। এস, আমরা এই নিগুঢ়তত্ত্ব ধ্যান করি ।

প্রভুর প্রার্থনা, ১০ প্রণাম মারীয়া এবং ১ ত্রিত্বের জয়

হে প্রিয় যীশু, আমাদের পাপ ক্ষমা কর, নরকের আগুন হতে আমাদের রক্ষা কর, সকল আত্মাকে স্বর্গের পথে চালাও, বিশেষতঃ যাদের জন্য তোমার দয়া একান্তই আবশ্যক।

৩। বেৎলেহেমের গোয়াল ঘরে যীশুর জন্ম

মাঝরাতে আমাদের ত্রাণকর্তা এক গোয়াল ঘরে জন্ম নিলেন এবং কুমারী মারীয়া তাঁকে যাবপাত্রে শুইয়ে রাখলেন। এস, আমরা এই নিগুঢ়তত্ত্ব ধ্যান করি ।

প্রভুর প্রার্থনা, ১০ প্রণাম মারীয়া এবং ১ ত্রিত্বের জয়

হে প্রিয় যীশু, আমাদের পাপ ক্ষমা কর, নরকের আগুন হতে আমাদের রক্ষা কর, সকল আত্মাকে স্বর্গের পথে চালাও, বিশেষতঃ যাদের জন্য তোমার দয়া একান্তই আবশ্যক।

৪। বালক যীশুকে মন্দিরে উপস্থাপন

ধন্যা মারীয়া যীশুকে মন্দিরে উপস্থাপন করার পর সাধু শিমিয়োন, ঈশ্বরকে ধনবাদ দিয়ে যীশুকে কোলে নিলেন। এস, আমরা এই নিগুঢ়তত্ত্ব ধ্যান করি ।

প্রভুর প্রার্থনা, ১০ প্রণাম মারীয়া এবং ১ ত্রিত্বের জয়

হে প্রিয় যীশু, আমাদের পাপ ক্ষমা কর, নরকের আগুন হতে আমাদের রক্ষা কর, সকল আত্মাকে স্বর্গের পথে চালাও, বিশেষতঃ যাদের জন্য তোমার দয়া একান্তই আবশ্যক।

৫। বালক যীশুকে মন্দিরে পাওয়া

জেরুসালেমের মন্দিরে পুত্র যীশুকে হারিয়ে, ধন্যা কুমারী সাধু যোসেফের সাথে তিনদিন তাঁকে খুজে বেরালেন এবং শেষে তাঁকে মন্দিরে পণ্ডিতদের মধ্যে তত্ত্বালোচনায় রত দেখতে পান।  এস, আমরা এই নিগুঢ়তত্ত্ব ধ্যান করি ।

প্রভুর প্রার্থনা, ১০ প্রণাম মারীয়া এবং ১ ত্রিত্বের জয়

হে প্রিয় যীশু, আমাদের পাপ ক্ষমা কর, নরকের আগুন হতে আমাদের রক্ষা কর, সকল আত্মাকে স্বর্গের পথে চালাও, বিশেষতঃ যাদের জন্য তোমার দয়া একান্তই আবশ্যক।

প্রণাম রানী

প্রণাম রানী, দয়াময়ী মা, আমাদের জীবন-মাধুর্য ও ভরসা, প্রণাম। হবার নির্বাসিত সন্তান আমরা, তোমার কাছে আর্তনাদ করছি। এই অশ্রুময় সংসারে আমরা তোমার উদ্দেশ্যে কেঁদে পরিতাপ করছি। হে নিত্য সাহায্যকারিণী, তোমার সদয় চোখে আমাদের দিকে তাকাও। এই নির্বাসনের পর তোমার পুত্র ধন্য যিশুকে আমাদের প্রদর্শন কর। হে দয়াময়ী, হে স্নেহময়ী, হে মাধুর্যময়ী, মারীয়া-কুমারী।

চালকঃ হে পুণ্যময়ী ঈশ্বর জননী, আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর।
সবাইঃ আমরা যেন খ্রিষ্টের অঙ্গীকারের যোগ্য হয়ে উঠি।

চালকঃ এস, আমরা প্রার্থনা করি…

হে ঈশ্বর, তোমার একমাত্র পুত্র নিজের জীবন, মৃত্যু ও পুনুরুত্থান এর মাধ্যমে আমাদের জন্য অনন্ত পরিত্রাণের পুরষ্কার অর্জন করেছেন । মিনতি করি, আমরা যেন কুমারী মারীয়ার পবিত্র জপমালার নিগুঢ়তত্ত্ব ধ্যান করে এর অন্তর্গত ভাব অনুকরণ করতে এবং তাঁর প্রতিশ্রুত ফল লাভ করতে পারি। আমাদের প্রভু যীশু খ্রিষ্টের নামে। – আমেন।